অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আব্দুল্লাহিয়ান জানিয়েছেন, তেহরানস্থ আজারবাইজান দূতাবাসে গতকালের হামলার সঙ্গে সন্ত্রাসবাদের সম্পর্ক নেই। ব্যক্তিগত ও পারিবারিক সমস্যার কারণে এই হামলার ঘটনা ঘটেছে। তবে এ বিষয়ে আরও তদন্ত করা হবে বলে জানানো হয়েছে।
হামলাকারীকে আটকের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ সম্পন্ন করেছে পুলিশ। আজারবাইজানের এক নারীকে বিয়ে করেছিলেন এই হামলাকারী। তার দাবি, প্রায় দশ মাস আগে তেহরানস্থ আজারবাইজান দূতাবাসে প্রবেশের পর তার স্ত্রী আর সেখান থেকে বেরিয়ে আসেনি এবং দীর্ঘ এই সময়ে একবারও তার সঙ্গে যোগাযোগ করেনি। স্ত্রীকে উদ্ধার করতেই তিনি সেখানে হামলা চালিয়েছেন বলে দাবি করছে হামলাকারী ঐ ব্যক্তি।
এবার যখন এই ব্যক্তি আজারবাইজান দূতাবাসে প্রবেশ করে তখন সঙ্গে তার মেয়েও ছিল। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী এই মেয়ে নিরাপত্তা বাহিনীকে বলেছেন, দূতাবাসে যে তার মা নেই এ কথা বাবাকে বোঝানোর চেষ্টা করেও তিনি ব্যর্থ হয়েছেন। তার বাবা ভাবতেন, তার স্ত্রী এখনও দূতাবাসেই অবস্থান করছে। মেয়ের ভাষ্যমতে, স্ত্রীকে উদ্ধারের চিন্তা থেকেই দূতাবাসে ঢুকে গুলি চালাতে শুরু করে তার বাবা।
হামলার ফলে আজারবাইজান দূতাবাসের একজন কর্মী নিহত ও দুই জন আহত হয়েছেন। আহত দুই জনকে দেখতে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাসপাতালে গেছেন। তার সঙ্গে এ সময় তেহরানে নিযুক্ত আজারবাইজানের রাষ্ট্রদূতও ছিলেন।
আজারবাইজান হচ্ছে ইরানের মুসলিম প্রতিবেশী দেশ। ইরান-আজারবাইজান ফ্রেন্ডশিপ সোসাইটির সদস্য রুহুল্লাহ হাজরাতপুর বলেছেন, দূতাবাসে হামলার ঘটনাটি একেবারেই ব্যক্তিগত ও পারিবারিক সমস্যার কারণে ঘটেছে, এর সঙ্গে সন্ত্রাসবাদের কোনো সম্পর্ক পাওয়া যাচ্ছে না। কাজেই দুই দেশের সুসম্পর্কের ওপর এই ঘটনা কোনো ধরণের নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে না। তার মতে, দুই দেশের সুসম্পর্কের ক্ষেত্রে ধর্মীয়, সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক ভিত্তি রয়েছে। এ ধরণের কোনো ইস্যুকে কেউ যদি অপব্যবহার করতে চায় তাহলে দুই দেশের সরকার ও জনগণই তা মোকাবেলা করবে বলে তার বিশ্বাস।
Leave a Reply